সারাদেশ ডেস্ক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাগলা মহিষের শিংয়ের আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোয়াজ মিয়া (৩৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মহিষের মালিক ঘটনাটি ৫০ হাজার টাকায় রফা করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ২৯ জুন (সোমবার) সকালে পাগলা মহিষটি তরফপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ওই ব্যক্তিকে শিং দিয়ে পেটে ও মুখে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ছিটমামুদপুর গ্রামের আছর উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০) প্রায় দুই যুগ ধরে মহিষ কেনাবেচা করে আসছেন। গত ২৫ জুন নজরুল নাটোর থেকে ১০টি মহিষ কিনে ২৭ জুন শনিবার উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কাইতল্যা পশু হাটে বিক্রির জন্য আনেন। সেখানে ৬টি মহিষ বিক্রি করতে পারলেও সন্ধ্যার পর চারটি মহিষ নিয়ে হেঁটে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পাগল মহিষটি ছুটে জঙ্গলে ঢুকে যায়। রোববার রাতে মহিষটির সন্ধান পেলেও কেউ কাছে ভিড়তে পারেনি। সোমবার সকালে তরফপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে মহিষটি আটকাতে গেলে এটি তাকে শিং দিয়ে পেটে ও মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এতে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসে।
পরে তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আটদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাটি মহিষের মালিক নজরুল স্থানীয়ভাবে ৫০ হাজার টাকায় রফা করেন।
গ্রামবাসী মহিষটিকে আটক করে মৃত ইয়াছিনের বাড়িতে গাছে বেঁধে রেখেছেন। তারা মহিষটিকে জবাই করে খাওয়ার প্রস্তুতি নিলে সোমবার সকালে নজরুল ইসলাম ওই পাগলা মহিষটি তার বাড়িতে আনেন বলে জানা গেছে।
মহিষের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, খোয়াজ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা করেছি। মহিষটিও বাড়িতে এনেছি। মহিষটি বর্তমানে সুস্থ আছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড