গাজীপুর প্রতিনিধি
যেখানে প্রাণঘাতী করোনা আতঙ্কে সবাই অসুস্থদের থেকে দূরে থাকে, ঠিক সেই সময় মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শিক্ষা বান্ধব সামাজিক সংগঠন আলোর দিশারী শিক্ষা ফাউন্ডেশন।
অর্থের অভাবে কী থেমে যাবে গাজীপুরের বিধবা তহুরার চিকিৎসা। এই শিরোনামে দৈনিক অধিকার, প্রতিদিনের কন্ঠসহ আরো কয়েকটি জাতীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে আলোর দিশারী শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খন্দকার আনোয়ার হোসেনের নজরে পড়ে এবং বিধবা তহুরা খাতুনের অসুস্থতাজনিত বিষয়টি জানতে পেরে সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই ওই নারীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন আলোর দিশারী শিক্ষা ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খন্দকার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আলোর দিশারী বরাবরই শিক্ষা, সমাজ, ধর্ম ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বিধবা তহুরা খাতুনের অসুস্থতাজনিত বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আমার নজরে আসে এবং এই বিষয়ে আমাদের সংগঠনের কয়েকজন উপদেষ্টা ও সদস্যদের সাথে পরামর্শ করি। তারা সকলেই তহুরা খাতুনের পাশে দাঁড়ানোর মতো মনোভাব পোষণ করেন। আমরা খুব শীঘ্রই উনার চিকিৎসার বিষয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করবো। সমাজের সকল বিত্তবান ও মানবিক মানুষকে আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ জানাবো যাতে মহিলাটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, তহুরা খাতুন জানান, ২০ বছর আগে স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করতে হয়। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে কাজে যেতে পারছেন না বিধবা মহিলাটি। জরাজীর্ণ একটি খোপরি ঘরে একাই থাকেন তিনি। বৃষ্টি আসলেই ঘরের চালার ছিদ্র দিয়ে পড়ে পানি। বৈশাখের এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে কাটাতে হয় তাকে। তিনি আরো জানান, বিগত দশ বছর আগে তার নাকে ছোট্ট একটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা না করার কারণে আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেছে। তার নাকের অবস্থা খুবই খারাপ তার দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। ডাক্তার বলেছেন তাকে তিন মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে তারপর অপারেশন লাগবে। যার জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় এক লক্ষ টাকা। কিন্তু টাকার অভাবে কোন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাই দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তহুরা খাতুন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের প্রয়াত মোনতাজ খানের স্ত্রী।দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী তহুরা। তিন বছর পূর্বে বড় ছেলে মারা যায়। এ যেন মরার উপর খাড়ার গা। অসহায় এতিম নাতিদের নিয়ে পড়েছেন আরো বিপাকে। এক দিকে চিকিৎসা করাতে না পেরে দিন দিন নাকের ক্ষত গভীর হচ্ছে অন্যদিকে নাতিদের ভরণ পোষণর চিন্তা। জমি বলতে ভিটা-মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। ২০ বছর আগে স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করতে হয়। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে কাজে যেতে পারছেন না বিধবা মহিলাটি। জরাজীর্ণ একটি খোপরি ঘরে একাই থাকেন তিনি। বৃষ্টি আসলেই ঘরের চালার ছিদ্র দিয়ে পড়ে পানি। বৈশাখের এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে কাটাতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন : অর্থের অভাবে কী থেমে যাবে গাজীপুরের বিধবা তহুরার চিকিৎসা!
তিনি আরো জানান, বিগত দশ বছর আগে তার নাকে ছোট্ট একটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা না করার কারণে আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেছে। তার নাকের অবস্থা খুবই খারাপ তার দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। ডাক্তার বলেছেন তাকে তিন মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে তারপর অপারেশন লাগবে। যার জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় এক লক্ষ টাকা। কিন্তু টাকার অভাবে কোন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাই দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড