তানভীর আহাম্মেদ, জামালপুর
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, তবে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। বন্যা দুর্গত মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, সেই সাথে পালের পশুর খাদ্য না থাকায় দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে কৃষকের। নতুন করে কোন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত না হলেও আট পৌরসভা ও ৪৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখের অধিক মানুষ পানিতে বন্দি পড়ে আছে।
গত২৪ঘন্টায় যমুনার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে শনিবার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানি কমতে থাকলেও পৌরসভাগুলো সহ ৪৯টি ইউনিয়ন জলে নিমজ্জিত হয়ে পানিতে তলিয়ে পরে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, গ্রামের পর গ্রামের। বন্যার পানিতে ডুবে আছে ছোট, বড় কাঁচা পাকা সড়কের প্রায় ৩ শত কিলোমিটার। বর্তমানে কিছু সড়কে পানি সরে গেলেও বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও ইট পাথর খোয়া বন্যার তুরে ভাসিয়ে নিয়ে যাওযায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বন্যা এবং করোনার কারণে দীর্ঘ দিন থেকে কর্মহীন হয়ে বসে আছে অসংখ্য মানুষ। এই মানুষগুলো পরিবারে মুখে কিছু তুলে দেওয়ার জন্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উঁচু জায়গায় বসে থাকে হাত বাড়িয়ে। যদি কেউ ত্রাণ নিয়ে আসে এই পথে! দিন যত গড়াচ্ছে খাবারের সংকট বাড়ছে। তবে বন্যার শুরুর দিকে সামান্য কিছু পরিবার সরকারি বরাদ্দ করোনা কালীন খাদ্য সহায়তা পেয়েছে।
জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি
সরকারি তথ্যমতে, জামালপুরে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৫ হাজার৭৪৭টি পরিবারে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৭ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৯১টি গ্রামের ৬হাজার ৬৬২টি ঘর বাড়ি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় নতুন করে ৫৩৪ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১৩লাখ ৫০হাজার টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। আরো ত্রাণের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড