• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

টাঙ্গাইলে সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

০৩ জুলাই ২০২০, ২৩:২৬
ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। টানা দুইদিন যমুনার পানি কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আবার ৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও জেলার ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮৮ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। ফলে নদী তীর উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ধলেশ্বরীসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও গোপালপুর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ৯৩টি গ্রামের এক লাখ ২৪ হাজার ৫৭১ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারসহ গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১ হাজার ১৮৯টি ঘরবাড়ি।

পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা নদী রক্ষা বাঁধের পূর্বতীরের ভূঞাপুরের গারাবাড়ি এলাকায় লিকেজ দেখা দেয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাঁধটি। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ১৬৩ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বিতরণ শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ।

বন্যা কবলিতদের অভিযোগ, পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা পাননি তারা। বন্যায় রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। এতে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে। বন্যায় টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় আক্রান্তদের জন্য কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা আসেনি। তবে ত্রাণ বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন : চাঁদপুরে করোনা উপসর্গে দুইজনের মৃত্যু

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য দ্রুত সাহায্য প্রয়োজন। কারণ বন্যা কবলিতরা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার ও আর ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার অন্য সব নদীর পানিও বাড়ছে। এতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড