বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুতে শততম সংখ্যা পূর্ণ হলো বুধবার। মৃত ১০০ জনের মধ্যে ৩৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত ছিলেন। হাসপাতালের পরিচালক ডা: বাকির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪ জন রোগীর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে করোনা শনাক্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা হলো ১০১ জন। শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়েছিল গত ২৯ মার্চ।
অধিকহারে রোগী মৃত্যুর জন্য করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসাহীনতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবী, করোনা ওয়ার্ডে নামমাত্র চিকিৎসা হয়। চিকিৎসকরা রোগীর কাছে যান না। কোন রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও চিকিৎসক ডেকে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের ফেলে রাখা হয় অক্সিজেন এবং আইসিইউ সেবা ছাড়া। চিকিৎসকদের যথাযথ তদারকীর অভাবে বেশী সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের দাবি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৭ মার্চ থেকে গতকাল ১ জুলাই পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মোট ৬শ’ ৮৫ জন রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ২৬৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১৮৫ জন ছিলেন পজিটিভ এবং ২৮১ জন ছিলেন নেগেটিভ। মোট মৃত ১০১ জন রোগীর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৩৭ জন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার চাঁদপাশার বৃদ্ধ আ. সত্তার (৮০), সকাল সোয়া ৭টায় নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জুমির খান সড়কের বৃদ্ধ রনজিৎ কুমার দে (৭০), মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ঝালকাঠি সদরের ভিরসেনা গ্রামের আবুল কালাম খান (৫৫), ওইদিন রাত পৌঁনে ৮টায় মাদারীপুরের কালকিনির সাহেববাসর এলাকার বিকাশ দে (৪৫) মারা যান। সর্বশেষ বুধবার বিকেল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১২৭জন রোগী। এর মধ্যে ৬৩জনের করোনা পজিটিভ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড