জামালপুর প্রতিনিধি
যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে আর যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলার ৮পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়েছে ৩ লাখের বেশি মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত ৩জন মারা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২সেন্টিমিটার কমে বুধবার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জেলার সাত উপজেলার ৮টি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুরের মাছ, গরুর খাবার, মুরগীর খামার, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পরেছে পানিতে তলিয়ে থাকা কাঁচা পাকা প্রায় শত কোটি টাকা পরিমাণের সড়ক। আর সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অনেকেই আশ্রয়ের জন্য উঁচু সড়ক ও ব্রিজে অবস্থান নিয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ২শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তলিয়ে গেছে।
জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় প্লাবনের দুর্গতিতে পরেছে ৭৭ হাজার পরিবারের প্রায় ৩ লাখ ৮হাজার ১৯৮জন মানুষ। এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানিয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৩৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এরই মধ্যে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৬শত ২০টি পরিবারের ৫হাজার মানুষ অবস্থান করছে।
কৃষকদের তথ্যমতে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৫হাজার হেক্টর।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড