জামালপুর প্রতিনিধি
যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ৪৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে পরে দুই উপজেলায় দুই শিশু মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে মঙ্গল বার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করা জেলার সাত উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুরের মাছ ,গরুর খাবার, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশের বেশি সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। আশ্রয়ের জন্য বানভাসা মানুষগুলো পরিবারের স্বজনদের নিয়ে উঁচু সড়ক ও ব্রিজে অবস্থান নিয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় একশত পঞ্চাশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তলিয়ে গেছে।
জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় প্লাবনের দুর্গতিতে পরেছে ৬৬ হাজার পরিবারের প্রায় ২লাখ ৫০হাজার মানুষ। এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।বন্যা আক্রান্ত অসহায় মানুষেরা বলছে তাদের কাছে এখন ত্রাণ পৌঁছেনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানিয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । বন্যা কবলিত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে ৩৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৪৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র মানুষ যেকোনো সময় এই কেন্দ্রে উঠতে পারবে । বন্যা মোকাবেলা করার মত যথেষ্ট খাবার মজুত আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানায়, জেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে কৃষি জমির পরিমাণ ২৩২০ হেক্টর।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, উজানে পানি কমতে শুরু করেছে তাই একদিনের মধ্যে জামালপুরের বন্যার পানি কমতে শুরু করতে পাবে। এখন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি স্থির অবস্থান আছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড