ওবাইদুর আকাশ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় মাত্র একদিনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে খোকসার ইমাম পেটানো মূলহোতাকে। তবে অপর দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ।
সোমবার (২৯ জুন) বেলা ১১ টায় ওই এক নম্বর আসামি মুন্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, খোকসার ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পলি খাতুনকে পিটিয়ে রক্তাত্ব করে কিছু যুবক। এ ঘটনায় মামলা করা হয় তিনজনকে আসামি করে। এজাহারভুক্ত আসামি মুন্নু তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৭ জুন ) দুপুরে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘুড়ি উড়ানো নিষেধ করায় মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে গুরুতরভাবে আহত করেছে বখাটেরা। কুমারখালীর বাটিকামারার হঠাৎপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে কুমারখালী খয়েরচরা খালাত ভাইয়ের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে ফিরছিল হাফেজ রফিকুল ইসলাম (৩৮)। এ সময় তার স্ত্রী পলি আক্তারও (৩২) ছিলেন। খোকসায় ফেরার পথে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের হঠাৎপাড়া এলাকায় চলতি পথে ঘুড়ির সুতা পেঁচিয়ে তারা সামান্য আহত হোন।
ওই সময় ইমাম রফিকুল তাদেরকে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়াতে নিষেধ করেন। তার নিষেধ না শুনে উল্টো ইমামের ওপর চড়াও হয় ঘুড়ি ওড়ানো বখাটেরা। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বখাটে মুন্নু, চান্নু, আশাসহ অজ্ঞাত একজন বেলচা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে। এ সময় হাফেজ রফিকুলের ডান হাত ও তার স্ত্রীর বাম হাত লাঠির আঘাতে ভেঙে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। বিকাল ৪টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খোকসা জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় হাফেজ রফিকুল এর ছোট ভাই হাফেজ সালাউদ্দিন কুমারখালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড