মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় জমি দখল ও সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সুমনা হাউজিং ও দক্ষিণা গ্রীন সিটি হাউজিং প্রকল্প নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার খাসকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ রবিবার সকালে ঘটনা স্থলে গেলে দুপক্ষের লোকজন ইট পাটকেল ছুড়ে পুলিশের এক এএসআইসহ ২ কনস্টেবলকে আহত করে। পরে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং দেড়হাজার টেটা উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বালুচর ইউনিয়ন খাসকান্দি ও চান্দের চর এলাকায় গড়ে উঠা সুমনা হাউজিং ও দক্ষিণা গ্রীন সিটির মধ্যে জায়গা দখল এবং সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে উত্তেজনা চলছিলো। গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি সকালে সুমনা হাউজিং প্রকল্পের লোকজন টেঁটা বল্লম লাঠিসোঁটা নিয়ে দক্ষিণা গ্রীন সিটির সাইনবোর্ড ভেঙে দেয়। দক্ষিণা গ্রীন সিটির এর সাইনবোর্ডের জায়গায় সুমনা হাউজিং'র সাইনবোর্ড বসায়। সেই জায়গাতেই সুমনা হাউজিং এর সাইনবোর্ড ভেঙে আবারো সেখানে দক্ষিণা গ্রীন সিটি দখলের চেষ্টা করে। এই নিয়ে দু’টি হাউজিং প্রকল্পের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এদিকে সংবাদ পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থলে সিরাজদিখান থানা পুলিশ যায়। এসময় দুই পক্ষের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা ছুড়তে থাকে। থানার এএসআই দিলিপ কুমারসহ ২ কনস্টেবল আহত হয়। পরে লাঠিচার্জ ও ১৫ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। তবে দুপক্ষের লোকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, কয়েক মাস আগেও হাউজিং কোম্পানির বালু ভরাট করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন রবিবার বিকেলে জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনার পর দেড় হাজার টেটা উদ্ধার করা হয়েছে। চারজনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধনী।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড