ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ নগরীতে কন্যা সন্তান জন্মের ৩৯ দিন পর পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রীতা আক্তার (২৮) নামে এক প্রসূতি।
তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বর্মী এলাকার নয়ানগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রীতা আক্তার ও আমিনুল ইসলাম সাড়ে তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন। এই দম্পতি একটি সন্তান লাভের আশায় ময়মনসিংহ নগরীতে চিকিৎসক ডা. শিলা সেনের চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা আর পরামর্শ গ্রহণের পর রীতা আক্তার গর্ভবতী হন। পরে আলট্রাস্নোগ্রাম করার পর রীতা আক্তারের গর্ভে দু’টি সন্তানের অস্তিত্ব ধরা পড়লে নিয়মিত ডা. শিলা সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন তিনি।
গত ১৩ মে হঠাৎ রীতা আক্তারের ব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং তাকে চেম্বারে আসতে বলেন চিকিৎসক ডা. শিলা সেন। পরে রীতা আক্তার চেম্বারে আসার পর তাকে ময়মনসিংহের শিলাঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি করে লেবার ওটি'তে পাঠানো হয়। এরপর ওই দিনই একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রীতা আক্তার। কিন্তু শিশু সন্তানটির ৩১ সপ্তাহে জন্ম নেওয়ায় ওজনও ছিল মাত্র ১১শ’ কিলোগ্রাম।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সন্তানটি রীতা আক্তারের গর্ভেই থেকে যায়। প্রথম মেয়ে সন্তান জন্মের পর রীতা শারীরিকভাবে সুস্থতাবোধ করতে থাকলে তাকে ৭২ ঘণ্টা পর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহের চূরখাইয়ে অবস্থিত কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। একপর্যায়ে ৩৯ দিন পর গত ২৩ জুন রীতা আক্তার তার গর্ভের দ্বিতীয় ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
এ প্রসঙ্গে প্রসূতি রীতা আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পেটে সন্তান না আসায় ডা. শিলা সেনের চিকিৎসা আর পরামর্শ গ্রহণের পর আল্লাহর রহমতে গর্ভবতী হই। পরে এক মেয়ে সন্তান জন্মের ৩৯ দিন পর ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। আমি একজন গর্বিত মা।’
আরও পড়ুন : গোপালগঞ্জে নতুন করে ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত
এ ব্যাপারে চিকিৎসক ডা. শিলা সেন দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘সাধারণত জমজ বাচ্চার প্রথমটি প্রসব করার কয়েক মিনিট বা এক-দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পরেরটি হয়ে থাকে। এটি একটি বিরল ঘটনা। রীতা আক্তার ও তার সন্তানরা এখন সুস্থ আছেন। এই দম্পতির জন্য আশীর্বাদ রইল।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড