লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ সকাল ৬টা থেকে ২০ সে.মি. সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১২টা দিকে তা কমিয়ে এখন বিপদসীমার ১৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা ব্যারাজ কন্টোল রুম সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানী-ডালিয়া কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং বেলা ১২টার পর থেকে তা কমিয়ে ১৮ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানিতে নিম্নাঞ্চলের ১৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান, ফসলি জমি সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত। সেই সাথে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ওই এলাকার লোকজনের দূর্ভোগ বেড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, এবারের বন্যায় গড্ডিমারী ইউনিয়নে ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। বিষয়টি হাতীবান্ধা ইউএনও ও পিআইও কে রাতেই জানানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিকেলের মধ্যে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার লোকজনের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পানিবন্দি মানুষ জনের মাঝে বিতরণ করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড