সারাদেশ ডেস্ক
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রী ও এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা করা হয়।
জানা যায়, মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিবেশী আবদুল গণির ছেলে কলেজ পড়ুয়া রবিন মিয়া (১৯) ছাত্রীটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করেন। এতে ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থার অবনিত এবং টানা কয়েকদিন রক্তপাত হওয়ায় পরিবারকে বিষয়টি জানায় কিশোরী। বিষয়টি জানানোর পর মঙ্গলবার এলাকায় সালিশ বসে। কিন্তু মীমাংসায় ব্যর্থ হলে ওইদিন রাতেই রবিন ও তার ভাবি রুনা আক্তারকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ছাত্রীর মা।
অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সৈয়দভাকুরি গ্রামের এক গৃহবধূকে (১৯) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে একই গ্রামের মতি মিয়া (৪৫)। গৃহবধূর স্বামী একজন মাহিন্দ্রা চালক। স্বামীর বিরুদ্ধে চাকা চুরির অভিযোগ এনে স্ত্রীকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ২০ জুন রাতে তুলে নিয়ে যায়। পরে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে দুই দফা ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে নানা ধরনের হুমকিও দেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করে মতি মিয়া। কিন্তু গৃহবধূর স্বামী কৌশলে নির্যাতিতা স্ত্রীকে নিয়ে থানায় এসে মতিসহ দুইজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেন গৃহবধূ।
পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় বুধবার নির্যাতিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড