ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতজন চিকিৎসকসহ মোট : ১৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬জন আর সুস্থ হয়েছেন ৫২জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৪ জন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেলেও ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল ও কীট সংকট রয়েছে। যার কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম।
অনেক সময় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে পরীক্ষার ফলাফল ঝালকাঠির সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আসতে চার-পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। ফলে এ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে অসুস্থদের পড়তে হচ্ছে দুশ্চিন্তায়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুরক্ষা সামগ্রীরও সংকট রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে সিভিল সার্জন বলছেন, জনবল ও কীট সংকট ছাড়া অন্যসব কিছু ঠিক আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা সদর ও অন্য তিনটি উপজেলা থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতো। সম্প্রতি দুইজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের করোনা শনাক্ত হয়। এতে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রমে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। বর্তমানে সদর হাসপাতাল, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ার আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন করে স্টাফ নমুনা সংগ্রহ করছেন। এতে আগের তুলনায় নমুনা সংগ্রহ কমেছে। বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে অনেকেই অসুস্থ থাকলেও বাড়িতে গিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের মধ্যেও চার-পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে অন্যদের একদিন পরে আসতে বলা হচ্ছে। কারণ নমুনা সংগ্রহকারীকেও প্রচণ্ড চাপে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
গত শনিবার রাতে শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রোজিনা আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানোর পরেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। নমুনা সংগ্রহ না করেও লাশ দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে।
ঝালকাঠির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, নমুনা সংগ্রহের জন্য আমাদের কীট ও জনবল সংকট রয়েছে। সদর হাসপাতালে মাত্র একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নমুনা নিচ্ছেন। উপজেলায় এই পদ শূন্য থাকায় অন্য স্টাফ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম কিছুটা কমেছে। হাসপাতালেই প্রচণ্ড চাপের মধ্যে একজনে নমুনা নিচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা এই মুহূর্তে কষ্টকর। যিনি এখন নমুনা নিচ্ছেন, তাঁরও ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের জনবল বাড়ানো এবং পর্যাপ্ত কীট প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, সদর হাসপাতালে মাত্র একজন স্টাফ নমুনা সংগ্রহ করছেন। উপসর্গ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের নমুনা নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরো দুইজন স্টাফ নমুনা সংগহ করতেন, তাদের করোনা পজিটিভ হওয়ায় বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড