• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মোংলা বন্দরে আবারো সেই মাফিয়া চক্রের আনাগোনা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন ২০২০, ১০:১১
মোংলা
মোংলা বন্দর ভবন

মোংলা বন্দর যখন লাভের পথ ধরে ধীরে ধীরে আধুনিক ও অধিকতর কর্মব্যস্ত হয়ে উঠছে ঠিক তখনই ১/১১এর সেই পুরনো মাফিয়া চক্রের দোষরোর কথিত শ্রমিক পরিচয়ে বন্দরকে অচলসহ শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারায় চালাচ্ছেন।

বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরকে অস্থিতিশীল করার জন্য সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বন্ধ হওয়া একটি বন্দর শ্রমিক সংগঠনের সাবেক নেতাদের নামে ষড়যন্ত্র লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১/১১ এর সময়ে বিলুপ্ত হওয়া মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘের তৎকালীন নেতারা ওই সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে শ্রমিক ও বন্দর নিয়ে নানা ধরণের অপপ্রচার ও বন্দর অচলের নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগে উঠেছে।

উল্লেখ্য যে, বর্তমানে মোংলা বন্দরে শ্রমিকদের সুবিধার্থে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ নামের একটি বৈধ সংগঠন রয়েছে। সেই সংগঠনই শ্রমিক- কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠাতায় কাজ করছেন।

কিন্তু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৎকালীন শ্রমিক সংগঠনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পরও বিলুপ্ত সংগঠনের নেতা একেএম শাহাবুদ্দিন, মাহাবুবুর রহমান মানিক ও ফরিদুল আলম মজুমদারসহ আরো কয়েকজন তথাকথিত শ্রমিক/কর্মচারী মোংলা বন্দর ও শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ভুয়া কাগজপত্র প্রেরণ করে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছেন।

কতিপয় এ দুষ্ট চক্রের হাত থেকে বন্দরকে এবং বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীদের রক্ষায় বন্দর ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে বন্দরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। অভিযোগ দেয়ার পর অনেক দিন পেরিয়ে গেল সে সকল চিহ্নিত মাফিয়া চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যার ফলে তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

এদিকে বন্দরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খুলনা বিভাগীয়য় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মো: মিজানুর রহমানও মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ নামের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত নতুন ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়া অন্যান্য কোনটি কার্যকর নয় বলেও অভিহিত করেছেন। এর আগে মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ নামে যেটি ছিল সেটি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিলুপ্ত হয়েছে। ফলে সেটির কোন কার্যক্রম গ্রহণ যোগ্য নয়। কেউ সেটির পরিচয় বহন করলে তা হবে বেআইনি।

বিলুপ্ত সংগঠনের নামে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন দপ্তরে যে চিঠি দিচ্ছেন এবং পরিচয়বহন করছেন এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং ফৌজদারি অপরাধও। তাদের বিষয়ে বন্দরের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মূলত ব্যবস্থা নিবেন বন্দর চেয়ারম্যান।

তিনি আরো বলেন, তাদের এ বেআইন কার্যক্রম সম্পর্কে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে অবহিত করার পাশাপাশি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, শ্রম অধিদপ্তর জানিয়েছে দিয়েছে মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ নামের সংগঠনটি অবৈধ আর মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ নামক সংগঠনটি বৈধ। সুতরাং যেটি অবৈধ আমরা তো সেটিকে আমলে নেই না। তাদেরকে কোন চিঠিও দিই না। অবৈধটা তো অবৈধই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তো কিছু নেই।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড