• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রহস্যময় গণধর্ষণ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

  আমতলী প্রতিনিধি, বরগুনা

১৪ জুন ২০২০, ১০:৫৬
বরগুনা
ছবি : সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী থানায় দায়ের করা রহস্যময় একটি অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার ভিকটিম (১৪) কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলার এক আসামি রাসেদুল হাসানকে (২৫) আটক করেছে। শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। রবিবার ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের বাহাদুর মিয়ার কন্যা ও তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৪) গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সেখানে গিয়ে দুপুরে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী খালা নাসিমা বেগমের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে বিকাল অনুমান তিন ঘটিকার সময় বাড়িতে আসার পথে পথিমধ্যে তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা থেকে মামলার ১নং আসামি পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের শাহআলমের পুত্র শাকিল (২০) এর নেতৃত্বে সাগর (৩২) ও রাশেদুল (২৫) দুটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে কিশোরীর গতিরোধ করে। এসময় উক্ত কিশোরী কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সু-কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে অপহৃতের মাতা মোসাঃ খাদিজা বেগম বাদী হয়ে শাকিল, সাগর ও রাশেদুলের নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণের পর গণধর্ষণ অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু পিটিশন মামলা নং-১১৫/ ২০২০। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশে আমতলী থানা গত ০১/০৪/২০২০ইং তারিখ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করে।

এরপর গতকাল (শুক্রবার) ১২ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার চায়না এরিয়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তায় আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এসআই সোহেল, এএসআই আমিরুল ও এএসআই লাইজুসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে ভিকটিম কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার মূল আসামি সাকিলসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেছে। তবে এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে বিষয়টি প্রেম ঘটিত।

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমতলী থানায় দায়ের করা রহস্যময় একটি অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার ভিকটিম (১৪) কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার চায়না এরিয়া থেকে উদ্ধার করেছি। শনিবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য ভিকটিমকে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। রবিবার ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, করোনার মধ্যেও থেমে নেই আমাদের পুলিশিং কার্যক্রম। আমতলী থানায় দায়ের করা রহস্যময় একটি অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার ভিকটিম (১৪)কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। এ মামলার অপর আসামি রাশেদুলকে আজ পৌরসভার চৌরাস্তা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড