চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক হিজড়ার মৃত্যুর পর মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে গ্রামবাসী। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়। মৃত আক্তারুজ্জামানের (৪০) বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির জানান, আক্তারুজ্জামান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, নাস্তিপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামান বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর স্বজনরা তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিজ গ্রাম নাস্তিপুর নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামবাসী দাবি তোলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আক্তারুজ্জামানের মৃত্যু হয়েছে। এ দাবি তুলে তার মরদেহ গ্রামে দাফন দিতে বাধা দেন তারা। পরে দর্শনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন নাস্তিপুর গ্রামে উপস্থিত হন। এ সময় গ্রামবাসী জানান, আক্তারুজ্জামান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ কারণে তার মরদেহ অন্যত্র দাফন করতে হবে।
পুলিশ সদস্যরা গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আক্তারুজ্জামান করোনায় মারা যাননি। কেউ গুজব ছড়িয়েছে। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির জানান, আক্তারুজ্জামানকে আমি সকালে নিজে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তার করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না, পেটে ব্যথা আর বমি ছিল। কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এমনটি করেছে। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া আলম বলেন, গ্রামের লোকজন আমাকে জানায় আক্তারুজ্জামান করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার মৃত্যু করোনায় হয়নি। অন্য শারীরিক সমস্যা ছিল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড