মুকসুদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নুরু কাজী (৬৫) নামক এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৬মে) বিকাল ৫ টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার চন্ডিবর্দি গ্রামে নজরুল ইসলাম নুরু কাজী (৬৫) নামক ঐ ব্যক্তি নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অবসর প্রাপ্ত সদস্য ছিলেন। মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. মমিন-উল-হাবিব জানান, মুকসুদপুর উপজেলা চন্ডিবর্দি গ্রামের ঐ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গত ২ জুন করোনা পজিটিভ আসে। পরে তিনি নিজ বাড়ি আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। নুরু কাজি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ও রক্ত চাপরোগ ছিল। আমরা তাদের আগেই বলেছিলাম আপনারা এই রোগীকে ফরিদপুর হাসপাতালে নিয়ে যান কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। শনিবার হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তারা আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে এ্যাম্বুলেন্স চায়। আমরা এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

তিনি আরো বলেন, নিহত ঐ ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ৪ জুন তার স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে গত ৫ জুন শুক্রবার তাদের শরীরেও করোনা পজিটিভ আসে। তারা সবাই নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ।

এ নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৭ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন, মৃত্যু ১ জন। জেলায় এনিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ২১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ২৪২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। বাকীদের মধ্যে ১২০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও ১২০ জন নিজ বাড়ি ও জেলার ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে জেলায় ২৪২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে মুকসুদপুরে মুকসুদপুর থানার ১৮ পুলিশ সদস্য ও এক ডাক্তারসহ ৫৭ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ৬৪ জন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চার চিকিৎসকসহ ৩৬ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৮ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় এক চিকিৎসক ও একজন নার্সসহ ৪৭ জন রয়েছেন।