রাজবাড়ী প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির দিকে ছুটছে মানুষ।
শুক্রবার (২২ মে) দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো হাজারো যাত্রীর ঢল নামে। এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের।
এদিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে গণপরিবহন না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ঘরমুখো যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এ সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে যাত্রীদের চাপ সামলাতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল রাত থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ফেরি চালু হতেই হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার শুরু হয়। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ না থাকলেও বিকেলে ঢল নামে যাত্রীদের।
ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, সড়কে গণপরিবহন না থাকায় অনেক কষ্টে বাড়তি টাকা খরচ করে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভেঙে ভেঙে পাটুরিয়াতে এসে গাদাগাদি করে ফেরি পার হয়ে দৌলতদিয়াতে এসেছেন। কিন্ত এখানেও যাত্রী পরিবহনের গাড়ি নেই। তাই বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েই বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে করে যেতে হচ্ছে। সরকার আসার অনুমতি দিলো, কিন্তু গণপরিবহন চালু করলো না। ফেরিতে যে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পার হচ্ছে বাসে কিন্তু অতটা গাদাগাদি হয় না। সীমিত আকারে হলেও গণপরিবহন চালুর অনুরোধ জানান তারা।
আরও পড়ুন : জামালপুরে হতদরিদ্রদের ত্রাণ দিল বিজিবি
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহু রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে বর্তমান ১৪টি ছোটবড় ফেরি চলাচল করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড