কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিপাকে পরেছে কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় ১০ হাজার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম। মসজিদগুলোতে নামাজিরা না আসায় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয় উপার্জন। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব পরিবারের সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক ইমাম-মুয়াজ্জিনের বিপরীতে মাত্র স্বল্প সংখ্যক প্রণোদনা পেলেও বাকীরা এখনো কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় হতাশ। দ্রুত সহযোগিতার দাবি তাদের।
জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নুর বখত জানান, গত ২৩ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৭জন। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। প্রশাসন মসজিদগুলোকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মসজিদের পরিবর্তে বাড়িতে নামাজ পড়ার পরামর্শ দেয়ার পর কমে গেছে মসজিদে মুসল্লিদের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পরেছে জেলার সাড়ে ৪ হাজার মসজিদের প্রায় ১০ হাজার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ।
বন্ধ হয়ে গেছে তাদের সম্মানীভাতাও। ফলে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছে তারা। এছাড়াও এবার রমজান মাসে ৬হাজার হাফেজ রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪৩জন খতম তারাবিতে অংশ নেয়ার কথা ছিল। সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য হাফেজরাও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল। করোনায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম আর হাফেজদের পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লিদের সাথে আল্লাহর ইবাদতে অংশ নিতে সাময়িক ব্যাহত ঘটায়।
তিনি আরো জানান, মুসুল্লিদের অনুদানভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণকে সম্মানীভাতা প্রদান করা হত। মসজিদে মুছল্লী কমে যাওয়ায় তারা সম্মানীভাতা পাচ্ছেন না। তাদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলে পরিবারগুলো রক্ষা পাবে।
এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ২৬২জন দুস্থ ইমামকে সরকারি জাকাত ফান্ড থেকে ৮লক্ষ ৫৯হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ফান্ড থেকে ৭ লক্ষ টাকা সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে বাকীদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করছি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড