কক্সবাজার প্রতিনিধি
নিরাপদে ফিরে এসেছে মাছ ধরারত ৫৫০০ ফিশিং ট্রলার ও ৭৪হাজার ৩৭৫ জন জেলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সেনাবাহিনী ও ১০ হাজার ভলেন্টিয়ার প্রস্তুত।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাগর উত্তাল রয়েছে। সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগরে মাছ ধরারত ৫ হাজার ৫০০টি ফিশিং ট্রলার ও ৭৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলে নিরাপদে ফিরে এসেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উপকূলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ২২১টি স্কুল-কলেজ। সিপিপির ভলান্টিয়ার, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।
শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থার পাশাপাশি সকল ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় ওষুধসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে প্রয়োজনীয় যানবাহন। উপকূলীয় এলাকার জনগণকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। উপকূলে অতি ঝুঁকিতে থাকা ৪১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
অপরদিকে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১০ হাজার ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও শুকনো খাবার। প্রশাসনকে সহযোগিতার লক্ষ্যে আশ্রয়কেন্দ্র চিহ্নিত করে রাখার পাশাপাশি সেনা বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বাতাসের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড