• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মনপুরায় আম্ফানের প্রভাবে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

  ভোলা প্রতিনিধি

১৯ মে ২০২০, ০৭:৪৩
আম্ফান
মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন

মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৭৪–টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১টি কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। জনগণকে সচেতনতায় উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপির) উদ্যোগে মাইকিং(প্রচার) করে সতর্কীকরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার,মসজিদের ইমাম, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে মূল ভূখণ্ডের আশ্রয়কেন্দে গুলোতে উঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। আকাশ থমকে রয়েছে। মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠছে। অনেক জেলে নৌকা নদীর তীরে চলে আসতে শুরু করেছেন। বাজার কিংবা রাস্তা-ঘাট মানুষের আনা-গোনা তেমন একটা নেই। রাত যত গভীর হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসার জন্য চলছে প্রশাসন কর্তৃক সতর্কতামূলক মাইকিং। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আবহাওয়ার এহেন অবস্থায় স্থানীয় লক্ষাধিক মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তথ্য সংলগ্ন পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড় প্রবল হওয়ায় দেশের বন্দরগুলোতে বিপদ সঙ্কেত ৪ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৭ নম্বর করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন।

রাত যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ততই ঘনীভূত হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, এখনো পর্যন্ত বাড়িতেই আছি। তবে অবস্থা বেশী খারাপ মনে হলে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন বলে জানান।

এব্যাপারে মনপুরার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুতি মূলক সভা করেছি। ৭৪–টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।বিচ্ছিন্ন চরগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে। ঘাটে ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি মাইকিং করছে। কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড