ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ(টাকা) দিয়ে মুক্তি পেল অপহৃত ৩৭ বছরের মুদি দোকানদার মোবারক মিয়া ।সে শহরের পঞ্চবটি গ্রামের মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে। পেশায় একজন মুদি দোকানদার। (১৭ মে)রোববার সকালে ভৈরব বাজার বাগানবাড়ী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।
মোবারক মিয়া জানায়, তার বাড়ি সংলগ্ন ক্ষুদ্র একটি মুদি দোকান চালায়। গত রবিবার সকাল ১১ টায় ভৈরব বাজার বাগানবাড়িতে আসেন তার দোকানের মালামাল নিতে । বাজারে আসার পরে কে বা কারা তাকে রুমাল শুকিয়ে অজ্ঞান করার পর দুপুরে জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি নির্জন স্থানে দেখতে পায়। তার পাশে মুখোশধারী ৬/৭ জন লোক লাঠিসোটা ও ধারালো ছুড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। মোবারক এখানে থাকার কারণ জানতে চাইলে তারা তাকে লাঠি দিয়ে শরীরে আঘাত করে এবং একপর্যায়ে মুখোশধারী অপহরণকারীরা তার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
একথা শুনে সে জানায় আমি ক্ষুদ্র দোকানদার। এত টাকা কোথা থেকে দিব। অপহরণকারীরা এসময় বলে টাকা না দিলে তোকে হত্যা করব। পরে ভয়ে সে তার মোবাইলে বাসায় ফোন করে। বাসা থেকে জানতে চায় সে কোথায় আছে। তখন সে বলে আমি কোথায় জানিনা। বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠাও, নইলে একদল লোক আমাকে মেরে ফেলবে হুমকি দিচ্ছে। একথা শুনে অপহরণকারীদের সাথে তার পরিবারের সদস্যরা রফাদফা করে বিকেল ৫ টায় দুটি বিকাশ নাম্বারে ৩৫ হাজার টাকা পাঠায়। বিকাশ নাম্বার দুটি হলো- ০১৭৯০২৪৩০০৩ ও ০১৬৭২৮৭১২২৬।
ভৈরবের পঞ্চবটি এলাকার আলামিন টেলিকম নামের দোকানের ০১৭৯০৬৪৪৬১১ নাম্বার থেকে উল্লেখিত দুটি নাম্বারে ২৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা দুইবারে পাঠায় বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। তারপর অপহরণকারীরা বিকাশে টাকা পেয়ে তাকে একটি রিক্সায় উঠিয়ে গাউছিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে সে গাউছিয়া বাসস্ট্যান্ড আছে এবং ওই এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় সে একটি মোটরসাইকেলে রাত ৮ টায় নরসিংদীর ইটাখোলা হয়ে সেখান থেকে একটি সিএনজি দিয়ে রাত সাড়ে ৯ টায় সে ভৈরবের পৌঁছে।
মোবারকের ভগ্নীপতি মো. রুবেল জানায়, গতকাল দুপুরে তার ফোন পেয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে যায়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে একথা শুনার পর আমরা ধারদেনা করে ৩৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বাধ্য হয়েছি। ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবারক এখনো অসুস্থ। সে সুস্থ হলে সকল ঘটনা অবহিত হয়ে থানায় আমরা অভিযোগ করব।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, ভৈরবে এ ধরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যার কোন ভিত্তি নেই। এসকল ঘটনাগুলোর অধিকাংশই ভিত্তিহীন। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড