রংপুরে স্ত্রী, সন্তানের গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বরবিল ইউনিয়নের মন্থনা বাজারের পাশে বালাপাড়া গ্রামে স্ত্রী ও কন্যার গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে স্ত্রীর পরিবারের দাবি তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

বালাপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র হাফিজুল ইসলামের সাথে আলমবিদিতর ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের মোরশেদুল ইসলামের কন্যা ফাতেমার বিয়ে হয় বছর সাতেক আগে। তার সংসারে হুমায়রা খাতুন নামে আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তান আছে।

হাফিজুল ইসলামের সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন থেকে কাজ না করা নিয়ে মনোমালিন্য ছিল। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবারও বিরোধ বাধে। খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমাতে যান তারা। সকাল ৯ টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় তাদের স্বজনরা দরজা ভেঙ্গে দেখেন বিছানায় পড়ে আছে ফাতেমা এবং হুমায়রার গলাকাটা নিথর দেহ আর ঝুলে আছে হাফিজুল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধারের কাজ করছে।

তবে ফাতেমার পরিবারের দাবি বিভিন্ন সময়ে টাকার দাবি করা হতো এই পরিবারের পক্ষ থেকে। তাদের ধারণা সে কারণেই জামাই, মেয়ে এবং নাতনিকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে জামাইয়ের স্বজনরা।

তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছি। প্রাথমিক তদন্তে দুটি গলাকাটা লাশ এবং একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের পরই বলা যাবে এই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় হাজার হাজার এলাকাবাসী ভিড় করেছেন ওই এলাকায়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।