সুনামগঞ্জের জমির ধান কেটে দিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা

কাটলে ধান মিলবে ত্রাণ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটার শ্রমিক না থাকায় কৃষকদের জমিতে ৬০ শতক ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন সরকার দলীয় সহযোগী সংগঠন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীসহ কৃষকদের উৎসাহিত করতে হাওরের ধান কাটা মনিটরিং করতে যান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা ও লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওদুদ।

বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপুর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের দেখার হাওরে এক অসহায় কৃষকের ৬০ শতক পাকা ধান কেটে দিলেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সুহেল আহমদ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. জাহির আলী, যুগ্ম আহবায়ক মো. শিবলু আহমদ চৌধুরী, রুবেল মিয়া, লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মো. ফরিদ মিয়া প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু বলেছেন, এই করোনা ভাইরাসের কারণে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে ধান কাটা শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। হাওরে কৃষকদের পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠলে ও আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনায় আগাম বন্যার আশঙ্কায় কৃষকরা যখন শঙ্কিত তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে সংগঠনের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নেমেছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন ইতিমধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা কোমর বেধে হাওরে ধান কাটতে নামায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সুনামগঞ্জের সবগুলো হাওরের কৃষকের ধান কাটা শেষ করা যাবে বলেও তিনি জানান।