ভালুকা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রভাবে দিশেহারা ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মৎস্য চাষিরা। মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। চলছে অঘোষিত লকডাউন করার কারণে বিপাকে পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষসহ মৎস্য চাষিরা। এর ফলে প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক বিভিন্ন খাতে। মৎস্য খাতের সব থেকে বেশি সংকটে পড়েছে মৎস্য চাষি ও এই খাতে সংশ্লিষ্ট সকলেই। এ অঞ্চলে মাছ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। কিন্তু করোনার কারণে ক্ষতির মুখে মৎস্য চাষি ও এই খাতের সকলেই।
নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভালুকা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে মৎস্য চাষি ও মাছ ব্যবসায়ী সকলেই দাবি করেছেন।
মৎস্য চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক মাছের হ্যাচারি, নার্সারি ও মৎস্য খামার রয়েছে। এ সকল হ্যাচারি, নার্সারি ও মৎস্য খামার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ও পোনা উৎপন্ন করা হয়। উৎপাদিত এ রেণু, পোনা ও মাছ সমগ্র দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মাছ দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে পড়েছে ভাটা। অঘোষিত লকডাউন করার কারণে সারাদেশে যানবাহন বন্ধ থাকায় এই এলাকার মাছ পরিবহণ করতে পারছে না। ফলে লোকসানে পড়ছে এই অঞ্চলের মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাংচাপাড়া গ্রামের নার্সারি ও মৎস্য ব্যবসায়ী সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, ১৯৮৮ সালের পর থেকে ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠেছে মৎস্য খামার। বর্তমান পরিস্থিতিতে খামার গুলো এখন আমাদের অধিক অর্থে উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে রেণু, পোনা ও মাছ উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং আমাদের প্রত্যেকটি নার্সারি ও মৎস্য খামারে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ভালুকা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৎস্য চাষি মামুন ফকির বলেন, করোনার প্রভাবে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সকল যানবাহন। এর ফলে মাছের খাবারের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি মাছেরও দাম কমছে। এছাড়া আমাদের খামারের জমির ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ফলে আমরা ক্ষতির মুখে। তাই সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হোক।
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝালপাজা গ্রামের মৎস্য চাষি মো. আব্দুর রউফ (মজিদ) দৈনিক অধিকারকে বলেন, করোনার প্রভাব পরেছে দেশের মৎস্য খাতে। যথাযথ উদ্যোগ না নিলে মাছ উৎপাদনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ মৎস্য চাষ করে অনেকেই অর্থনৈতিক লাভবান হয়েছেন। কিন্তু করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। এই পরিস্থিতির কারণে লোকসান কমাতে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড