ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি ৬৩০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একই দিনে ওএমএস ও ভিজিডির ৬৩০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় চাল বহনকারী চালক ও ওএমএস ডিলারের এক ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়াও চাল জব্দ করা দুই মিলের ৩টি গুদামসহ ৫টি গুদাম সিলগালা করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে ৬৮ বস্তা চাল উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রাম থেকে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন।

আটককৃতরা হলেন নছিমন চালক পান্না কাউসার (৩০) ও সংশ্লিষ্ট ওএমএস ডিলারের ভাই জমিরুল ইসলাম (৪০)।

পুলিশ জানায়, আটককৃত নছিমন চালকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কুশলডাঙ্গী বাজারের পার্শ্বে এমএস ডিলার আমিরুল ইসলামের ভাই ভাই হাস্কিং মিল ও তার ভাই জেমেরুল ইসলামের মিলে সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুইটি মিলের ৩টি গুদামে আরও ৫৬২ বস্তা চাল জব্দ করেন। এছাড়াও সন্দেহ মূলক ভাবে আরও দুটি গুদামসহ মোট ৫টি গুদামে সিলগালা করেন দেন ইউএনও।

এর আগে ভোরবেলা সরকারি চাল নছিমনে আমিরুলের চালের গুদামে নিয়ে আসার সময় আটক করে পুলিশ ও ইউএনওকে খবর দেন বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল। তিনি জানান, ভোরবেলা গুদামে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। পরে চালসহ নছিমন তিনটি আটক করে থানায় খবর দিলে ২ জন ড্রাইভার পালিয়ে যায়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন জানান, এ ঘটনায় ওএমএস ডিলার আমিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কুলসুমা আক্তার ও আমজানখোর ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার আব্দুর রশিদ জড়িত। এরা সবাই পলাতক। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও নছিমন চালক ও আমিরুলের ভাই জমিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে উল্লেখ করে ইউএনও সুমন বলেন, ঘটনার সহিত জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। করোনা পরিস্থিতির এমন সময়ে এতগুলো চাল আত্মসাতের ঘটনা খুব কঠোর ভাবে তদন্ত করবে প্রশাসন। খাদ্য গুদাম অথবা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তারাও এতে জড়িত আছেন কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।