সাভার প্রতিনিধি
বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব কাঁপছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে। করোনা ভাইরাসের ভীতি রোধে দেশের সকল বাজার, দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এতে করে বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরাও। করোনার আতঙ্কে বাজার থেকে গরুর খাবার কেনা, বাজারে দুধ বিক্রি করাও বন্ধ হয়ে গেছে খামারিদের। এছাড়া বাজার বন্ধের কারণে গোখাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ধামরাইয়ের কয়েকজন খামারের মালিক এসব তথ্য জানান।
খামারিরা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের সকল বাজার-দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একারণে নিয়মিত দুধের বাজার বসতে পারছে না। যেখানে আগে দুধের দাম পাওয়া যেতো ৬০-৭০ টাকা লিটার। সেখানে বন্ধের পর ২০ টাকা লিটার করেও দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে না।
তারা জানান, খামারিদের দুধের মূলত ক্রেতা বড় হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও মিষ্টির দোকানগুলো। বন্ধের কারণে তারা দোকান খুলতে পারছেন না। ফলে দুধ খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে। হাট-বাজার বন্ধ থাকায় তাতেও কেনার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ অবস্থায় বড় ধরণের ক্ষতির আশংকা করছেন গরুর খামার মালিকরা। দুধের চাহিদা বাড়াতে মিষ্টির দোকানগুলো খুলে দেয়ার আহ্বানও জানান তাঁরা।
খামারিরা আরও জানান, বাজার বন্ধ করে মানুষের খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও বেড়েছে গোখাদ্যের দাম। এই দিকে সরকার কোন নজরই দিচ্ছেন না। আগে যেখানে এক বস্তা ভুষির দাম ছিলো ১২০০টাকা। তা এখন ৪০০ টাকা বেড়ে ১৬০০ টাকা হয়েছে।
ঢাকার ধামরাইয়ের আদিয়া ডেইরি ফার্মের মালিক মো. আবদুল আহাদ বাবু বলেন, আমার খামারের ২০টি গরুর পেছনে প্রতিদিন ২১০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু দুধ বিক্রি করে ৫০০ টাকাও আয় হচ্ছে না। গত কয়েকদিন আগে ছুটি ঘোষণার পর থেকেই সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি। কর্মচারীরাও ছুটিতে চলে গেছে। বেশি টাকায় স্থানীয় লোক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। বাজারে দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে না। আবার গরুর খাবারের দাম বেড়ে গেছে। আমার অন্য ব্যবসা গুলোও বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। আমার ফার্মের গরু গুলোর জন্য খাদ্য জোগার করাটা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফার্ম করেছি। এখন লস দিয়ে গরু বিক্রি করলে ব্যাংকের ঋণ কিভাবে পরিশোধ করব? খাদ্যের অভাবে খামার চালানোও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখন নিরুপায় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি।
তিনি বলেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে খামারের খরচ জোগানো ও শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। ফলে খামার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, খামারিদের কথা ভেবেই সরকারি ত্রাণের সঙ্গে বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর যেসব সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে তার সঙ্গে দুগ্ধজাত পণ্য দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা। বিষয়টি নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে জানানো হয়েছে। এছাড়া খামারের মালিকদের কে কোন সহায়তা দেয়া যায় কী না সে বিষয়ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড