সারাদেশ ডেস্ক
ফরিদপুর জেলায় ২০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য ছিল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে ১৬টি ভেন্টিলেটর। এর সবগুলোই এখন নষ্ট। এগুলো ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) রয়েছে।
জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটর বা কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার ১৬টি যন্ত্র ছাড়া ফরিদপুরের সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের কোনো হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক গনেশ কুমাল আগরওয়ালা বলেন, ১১৫ শয্যার এ হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সুবিধা নেই।
ফমেক হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে এ হাসপাতালে আইসিইউ চালু করতে ১৬ শয্যার জন্য ১৬টি ভেন্টিলেটর আনা হয়। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পর ওই ১৬টি ভেন্টিলেটর পরীক্ষা করে দেখেছি যার একটিও কাজ করে না।
ফরিদপুর বিএমএ সভাপতি আসম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই ১৬টি ভেন্টিলেটর ছাড়া ফরিদপুরের সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের কোনো হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই।
তিনি বলেন, ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন, ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, আরোগ্য সদনসহ ফরিদপুরের বেসরকারি কোনো হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সুবিধা নেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেন্টিলেটরগুলো ঠিক করে পুণরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সদস্যরা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউর যন্ত্রপাতি কেনার অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় ওই ভেন্টিলেটরগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নেয়া কতটা আইন সম্মত হবে তা ভেবে দেখার বিষয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড