সারাদেশ ডেস্ক
ছোটবেলায় পরীক্ষার খাতায় রচনা লিখতে গিয়ে কতজনই তো কতকিছু লিখে আসেন। কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক কেউবা সাংবাদিক কিংবা এমপি মন্ত্রী। কিন্তু ঘুরেফিরে একটি কথা লিখতে কেউ ভোলেন না-তা হলো গবিরে পাশে থাকার প্রত্যয়। কিন্তু কর্মজীবনে প্রবেশের পর কর্পোরেট লাইফে এসে এসব আর পালন করা হয় না।
ইচ্ছে থাকলেও গরিবের পাশে দাঁড়ানোর ফুরসত মেলে না। এরমাঝে ভাই-বোন বাবা-মা সবার আব্দারও তো মেটাতে হয়। আরও আছেন দরিদ্র আত্মীয়স্বজন। কিছুদিন পর বিয়ের পিঁড়িতে বসার পর তো কথাই নেই। ছোটবেলার সে রচনা একসময় ফিকে হয়ে যায়, পরিণত হয় কথার কথায়। ভালো নম্বর প্রাপ্তির আশায় যে যতো ইনিয়ে বিনিয়ে লিখতে পারেন মিথ্যার ফুলঝুরি রচনার ধরণ ছিল যেন তারই প্রতিযোগিতা।
কিন্তু ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের এসএসসি ৯৬ ব্যাচের ছেলেমেয়েরা ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটিয়ে তা বাস্তবায়ন করেই ছেড়েছেন। করোনা মহামারীর এই দুর্যোগে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে এলাকার গরিবের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছে ত্রাণের বস্তা। আয়োজনটি করেছে গফরগাঁওয়ে ইসলামিয়া সরকারি হাই স্কুলের এসএসসি ২০০৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। যাঁদের সংগঠনের নাম ব্যাচ-০৬।
তরুণেরা উদ্যোগী হয়ে শুরু করেছেন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। তবে এতে তারা কোন প্রচারণায় যাচ্ছেন না। হাত পাতছেন না কারও কাছে। নিজেদের চাকরি আর ব্যবসার টাকায় বাড়ির দরোজায় গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন নিত্যপণ্য। এ জন্য কোনো গরিবের হুড়োহুড়ি, জাপটাজাপ্টিও নেই। খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার জন্য কাউকে আসতেও হয় না। দাঁড়াতে হয় না লাইনে। একইভাবে কোন অসহায় বাদ পড়লে ফোন দিলেই কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মাস্ক, সেনিটাইজার আর খাবার। এমনকি তরিতরকারিও দিচ্ছে ব্যাচ ০৬।
শনিবার (৪ এপ্রিল) নিরবেই তারা শুরু করেছে এই উদ্যোমী কাজ। সংগঠনে রয়েছে তিনজন ডাক্তার বন্ধু।করোনা সংক্রান্ত পরামর্শও দিচ্ছেন তাঁরা। কেউ ফোন করলেই তাদের দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ। প্রথম দফায় ১০০টি পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা হয়। ছিল চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, লবণ, আলু, সাবান ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড