ত্রাণ বিতরণে ‘বন্ধুদের’ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

মহামারি করোনা ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। আর এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে জনসমাগম এড়াতে জনসাধারণকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। আর এতে অনেকটাই ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ।

নিম্ন আয়ের মানুষদের সাহায্য করতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষ যখন ত্রাণ বিতরণের ছবি তুলতে ব্যস্ত ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে একদল তরুণ।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এসএসসি ২০০৬ ব্যাচের বন্ধুদের সংগঠন 'ব্যাচ-০৬'র সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে শুরু করেছে ব্যতিক্রমী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা। ফলাও করে প্রচার নয়, বরং নীরবে চলছে তাদের ত্রাণ বিতরণ। ত্রাণ নেওয়ার জন্য কাউকে আসতে হয় না, বরং অসহায় কেউ ফোন করলেই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল ) সংগঠনটি ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। প্রথম দফায় ১০০টি পরিবারের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়।

বিতরণ করা ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, লবণ, আলু, সাবান ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট।

এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সংগঠনের তিনজন ডাক্তার বন্ধু করোনা সংক্রান্ত পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ ফোন করলেই তাদের দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক পরামর্শ ও করণীয়।

সংগঠনের সদস্যরা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই। যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে, সেহেতু আমরা কোনো জমায়েত করতে চাচ্ছি না। অসহায় কেউ ফোন করলেই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের তিনজন বন্ধু ফোনে চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছেন। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে। আশা করি শিগগিরই আমরা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবো।