• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফোন দিলেই ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে ডিসি ও এসপি

  রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

০৪ এপ্রিল ২০২০, ১১:০৫
রাঙ্গামাটি
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ফোন দিলেই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যাবে

ঘরে বসে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ফোন দিলেই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যাবে নিজ নিজ ঘরে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, রাঙ্গামাটিতে হোম কোয়ারেন্টিনে ৭৬জন রয়েছে এবং হোম কোয়ারেন্টিন থেকে অবমুক্ত হয়েছেন ১১০জন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে গোটা জেলায় কোন করোনা আক্রান্ত রোগী নাই তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে প্রশাসনের প্রধানরা। সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। যথেষ্ট তৎপর রয়েছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে জনসাধারণকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলা শহরে ৪-৫টি টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেন। সাথে রয়েছে রিজিয়নের সেনাবাহিনী ও জেলা পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পাবলিককে সচেতন করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে মাইকিং করে বলছে যেন কেউ বিনা প্রয়োজনের ঘর থেকে বের না হয়। কিন্ত পাবলিক এতই যে নির্বোধ সেনাবাহিনীর কথাও মানছে না। এর জন্য দায়ী পাবলিক নিজেরাই। প্রশাসন সারা দিন শহরের অলি-গলিতে করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং করছে কিন্তু উঠতি বয়সের ছেলেরা আইন অমান্য করে চলছে।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রথম থেকেই প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে দফায় দফায় সভা সমাবেশ এবং সর্বশেষ জনগণকে আরো সচেতন করতে সেনাবাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ৪-৫জন ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গত এক সপ্তাহ ধরে শহর ও শহরের বাহিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন তো বন্ধই আছে।

জনগণকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে পুলিশও ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌছিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, রাতের আধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমি নিজেই ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে যা যা করণীয় তাই করছি। আমরা বলছি জনগণ ঘরে থাকবে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেবে প্রশাসন।

পুলিশ সুপার বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। জনগণকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে ইতোমধ্যে আমার নাম্বার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নাম্বার জনস্বার্থে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে। জনগণের ফোন পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের পক্ষ হতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলছি আপনারা ঘরে থাকবেন প্রয়োজনে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেবে পুলিশ। পুলিশ প্রশাসন এর পক্ষ হতে অত্র জেলায় প্রায় ১২ পুলিশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। সরকারের সকল আদেশ পালনে বদ্ধ পরিকর পুলিশ।

এ ব্যাপারে গিরিদর্পনের সম্পাদক ও তিন পার্বত্য জেলার প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মদ বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জনগণকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে জেলা শহরে প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর দেখা যাচ্ছে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে লোকজন খোলা মেলা ঘুরাঘুরি করতে খবর পাওয়া গেছে। আমি বলবো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন আরো একটু কঠোর হতে হবে। প্রশাসনের এই চেষ্টাকে অবহেলা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই এলাকার মানুষ। এটা একটা মরণঘাতি ভাইরাস তাই কোভিড-১৯ ভাইরাসটিকে কোন ভাবেই অবহেলা করার সুযোগ নাই। তাই সবাইকে আরো বেশী বেশী সচেতন হতে হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড