সারাদেশ ডেস্ক
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এক যুবক তিনদিন ধরে ভর্তি আছে। আজ না কাল, কাল না পরশু এমন করতে করতে ৭২ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত ওই রোগীর নমুনা নেওয়া হয় নি। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) করোনার লক্ষণ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছিলেন দরিদ্র ওই যুবক।
ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সর্দি-ঠান্ডা, হাঁচি-কাশি, জ্বর, গলাব্যথ্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই যুবক। ভর্তি হওয়ার পর তার স্যাম্পল নেয়ার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরয়ে দুই দফা চিঠি লেখা হয়েছে। কিন্তু তিনদিন পার হলেও তার স্যাম্পল নেয়া হয়নি। এনিয়ে আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি এ হাসপাতালে ১০ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এ ইউনিটে একমাত্র রোগী হলেন ওই যুবক। তার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও ওষুধ সরবরাহ করা হলেও স্যাম্পল সংগ্রহের এখতিয়ার এ হাসপাতালের কারো নেই। এ স্যাম্পল নেবে একমাত্র আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, এ যাবত গাজীপুরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন, আইসোলেশনে আছেন একজন। আর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এক হাজার ৪৯৬ জনের মধ্যে ৫৫৮ জনকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে ওই হাসপাতালের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান জানান, চিকিৎসকদের আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তার মধ্যে একটি করোনা ভাইরাসের রোগীদের স্যাম্পল নেয়ার জন্য স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে, একটি সাধারণ রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউনের কারণে চিকিৎসকদের আনা-নেয়ার জন্য অপর অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের যথাসময়ে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়না। তাই তিনি এ সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড