কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনায় সাগর আহম্মেদ (১৩) নামে এক কিশোরকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ফলে মুখ দিয়ে রক্ত ওঠায় তাকে প্রথমে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে শনিবার (২৮মার্চ) কুড়িগ্রাম শহরে এক বেসরকারি ক্লিনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে মধ্যকাশিপুর গ্রামে।
শিশুটির পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার সকালে জমিতে ছাগল চড়ানো নিয়ে ওই এলাকার ওমেদ আলী’র (৩৫) সাথে তার চাচী ছমিরণ বেগমের (৪০) কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ছমিরণ বেগমের স্বামী আব্দুল মালেক ওমেদ আলীকে পেয়ে তাকে চড়-থাপ্পর মারে। এই ঘটনার পরপরই দুপুরে ওমেদ আলীর ভাতিজা সাগর আহম্মেদ মাঠে গরু নিয়ে গেলে আব্দুল মালেকের শ্যালক ও একই গ্রামের শামসুল হক মোয়াজ্জেমের পুত্র মোস্তাফিজার রহমান (৩৪) সাগরকে একলা পেয়ে তাকে মাটিতে শুইয়ে তার পীঠের উপর হাঁটু গেড়ে বসে বেধড়ক মারপিট করে।
এতে সাগরের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। মোস্তাফিজার তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় সাগরকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে কুড়িগ্রামে এক বেসরকারি ক্লিনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সাগর আহম্মেদ ওই গ্রামের খোরশেদ আলীর পুত্র ও কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সাগরকে পিঠমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় সে রাস্তায় পড়ে যায়। এতে একটু রক্ত বের হতে পারে। কিন্তু তাকে আমি মারধর করিনি।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড