শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার কাছে টিউবওয়েল জন্য ২০ হাজার টাকা দেন ৭ নং ওয়ার্ড বাওইকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম খানের মেয়ে হেনা বেগম। চেয়ারম্যানকে পেয়ে টিউবওয়েল দেয়ার কথা জোর দিয়ে বললে তিনি বেদম মারধর করেন। গত২৬ মার্চ এই ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮ মার্চ শনিবার বিকেলে জেলা উপজেলার সাংবাদিকগন সরজমিনে যায়। সে সময় ভুক্তভোগী হেনা বেগম দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি আমার বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমাদের বাড়িতে যাই। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার ও আসেন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার টিওউবয়েল দিবার কথা বলে আগে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চেয়ারম্যানকে সামনে পেয়ে টিউবওয়েল ব্যাপারে জানতে চাই, এবং বলি বর্তমানে শুনেছি টিউবয়েল এসেছে আমার টিউবয়েল দেবার ব্যবস্থা করেন। তখন নাজিম উদ্দিন তালুকদার বলেন আমাকে কিসের টাকা দিয়েছ, টাকার নেবার কথা অস্বীকার করেন, এবং আরো ১০হাজার টাকা দাবি করে বলেন, আরো ১০হাজার টাকা দিলে টিউবওয়েল এর ব্যবস্থা করবেন। তখন আমার সাথে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে আমাকে চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার বেদম মারধর করেন।
এ ঘটনা দেখার পর আমার মেয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে দাড়িয়ে থাকে। চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার এর ভাই হওয়ার কারণে এলাকায় অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তাই আমাকে মারধর করার সময় এলাকায় লোকজন ভয়ে কেহ উদ্ধার করার সাহস পাননি। নাজিম উদ্দিন তালুকদার আমার মেয়েকেও মারধর করেছেন। দেখেন মারের চিহ্ন আমার চোখের পাশে এখনো কালো দাগ হয়ে আছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ।
আমি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানার ওসি আমার অভিযোগ নেয়নি, তার পর সার্কেল এসপির অফিসে যোগাযোগ করার পর আমার মামলা নেয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার চাই। কারণ থানা পুলিশ তারা ম্যানেজ করে ফেলেছে। তারা খুব প্রভাবশালী।
গ্রামের নিজাম বলেন, হা ভাই চেয়ারম্যান হেনা বেগমকে মারধর করেছেন।
এছাড়াও ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বলেন আমি ডাক চিৎকার শুনে এসে দেখি নিজাম দারিয়ে আছে আর হেনা সাইডে পরে আছে, তখন আমি চেয়ারম্যানকে বললাম কাজটি তোর ঠিক হয় নাই।
এব্যাপারে নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার দৈনিক অধিকারকে বলেন, আসলে ঐ মহিলা আমার উপর অন্য কারণে ক্ষিপ্ত তাই আমার নামে এসব কথা বলছে। আসলে সেদিন হেনার মাঝে আর আমার মাঝে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আর আমার বিরোধী লোকজন এটা করতেছে। আমি তার গায়ে হাত দেয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভাই আপনারা নিউজ করিয়েন না। এলাকার লোকজন নিয়ে মীমাংসা করে নিব।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নজরুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, হ্যাঁ হেনা বেগম একটি জিডি করেছেন। কিন্ত আমরা সেটা মীমাংসা করে দিব। তার বাবা মারা গেছে। সেটা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় হেনা বেগম যে অভিযোগ টি দিয়েছে সেখানে কি তাদের পারিবারিক সমস্যার কথা লিখা রয়েছে নাকি আপনি তদন্ত করে পেয়েছেন। আমরাতো শুনলাম টিউবওয়েলের টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এবং তিনি তো জিডি করেন নাই। সরাসরি অভিযোগ করেছেন। তখন তিনি বলেন, ভাই আপনি যা খুশি লিখেন তো ভাই। তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে ঘটনা সত্য।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড