খোকসা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহের মধ্য দিয়ে এগিয়ে এলো পশু চিকিৎসকরা। জানা গেছে, কুষ্টিয়ার খোকসায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে উপজেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসন বেশ কিছু সতর্কতা মূলক উদ্যোগ নিলেও রোগ নির্ণয়ের কিট সহ চিকিৎসকদের ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বল্পতা রয়েছে বলে জানায় একাধিক সূত্র। এ বিষয়ে দৈনিক অধিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পোশাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পশু চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে সরবরাহ করা অব্যবহৃত পিপিই স্বাস্থ্য বিভাগকে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়।
বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ১৫ টি অব্যবহৃত পিপিই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।
উপজেলায় সদ্য বিদেশ ফেরত ৬৪ প্রবাসীর মধ্যে ২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীরা যথেষ্ট সতর্ক না হওয়ায় এলাকায় করোনা ভাইরাস আক্রমণ ও বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড খেলা হলেও রোগ নির্ণয়ের কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কিছুই নেই। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা পোশাক পিপিই সংগ্রহের মধ্যদিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রস্তুতি একধাপ এগুলো। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. পলশ চন্দ্র রায় বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী আকার নিয়েছে। আমরা আমাদের দেশের মানুষের নিরাপদ চিকিৎসায় সহায়ক হতে চাই। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা জন্য কয়েক বছর আগে এই পিপিই গুলো সরবরাহ করা হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডাক্তার ও রোগীদের নিরাপদ রাখতে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন : কুষ্টিয়ায় ৭ মাসের শিশু আইসোলেশনে, করোনার আশঙ্কা
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পোশাক পিপিই সংগ্রহের মাধ্যমে করোনা রোগীর চিকিৎসায় তারা এক ধাপ এগিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে আইসোলেসন ওর্য়াড প্রস্তুত করেছেন। তাদের কাছে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত আছে তা দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা চলবে। এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর রোগ নির্ণয়ের প্রধান উপকরণ কিট জরুরী হয়ে পরেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা জানান, আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ উপজেলা একটু বেশী এগিয়ে। এ ছাড়া নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কাজ চলছে, মোড়ে মোড়ে হাত ধোওয়ার বেসিং বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে গোটা উপজেলায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড