হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে সবুজের চাদরে ভরে উঠেছে বোরো ফসলের মাঠ। এমন সবুজের সমারোহ দেখে চাষিদের চোখেমুখে হাসি ফুটে উঠলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। নিয়মিত পরিচর্চা ও কীটনাশক প্রয়োগে বোরো ধানের গোছা বাড়তে থাকলেও আবহাওয়ার গতিবেগের ওপর নির্ভর করছে ফলনের ভবিষ্যৎ। তাই সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছেন চাষিরা। এখন পর্যন্ত সবকিছু অনুকূলে রয়েছে। এ রকম অবস্থা থাকবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে অধিক আবাদ করেছে কৃষকগণ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকার কৃষক জিতেন, সুরেন ও অজয় জানান, এখন পর্যন্ত আবাদ আশানুরূপ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকের খরচ সাশ্রয় হবে।
অপরদিকে পাঁচগাছী ইউনিয়নের কাচিচরের কৃষক বিউটি, নুরল ও আবদার জানান, এ সময় অতি খরা ও কালবৈশাখীর কারণে অনেক সময় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমরা সঠিকভাবে পরিচর্চা করছি। আশা করছি তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
এ দিকে উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের কৃষক মোস্তা, জলিল, লিয়াকত ও নুরুজ্জামান জানান, বোরো ধানের ফলন এবার ভালো হওয়ার কথা কিন্তু ধানচাষিরা ধান বিক্রি করে খরচ তুলতে পারে না। এ বিষয়টা সরকারের ভেবে দেখা উচিত। যাতে প্রকৃত কৃষক উপকৃত হয়। টাউট-বাটপাররা যাতে কৃষকের রক্ত-ঘামে তোলা সোনালি ধানের সুফল ভোগ করতে না পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষককে পাশে থেকে পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এবার বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা ভালো ফলন ও ভালো দামও পাবে।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড