উখিয়ার যে ৩টি রিসোর্টকে কোয়ারেন্টিন ঘোষণা

উখিয়া উপজেলার ইনানী বিচের পাশে মেরিন ড্রাইভ ও এলজিইডি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে অভিজাত লা বেলা রিসোর্ট, পেভেল স্টোন রিসোর্ট ও রয়েল স্টোন রিসোর্টকে জেলার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি উখিয়ার ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৩টি রিসোর্ট রিকুইজিশন দিয়ে আপদকালীন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হিসেবে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছিল। গত ২২ মার্চ কক্সবাজার জেলা প্রশাসন প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে ১০০ বেডের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন তৈরি করতে জরুরি পত্র দেওয়ায় রিকুইজিশন করা লা বেলা রিসোর্ট, পেভেল স্টোন রিসোর্ট ও রয়েল রিসোর্টকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান আরও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পরিপূর্ণ করতে অবশিষ্ট কাজ ২৫ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করবেন। এই তিনটি রিসোর্টে কমপক্ষে ১৫০ জনের কোয়ারেন্টিন বেড প্রস্তুত করা যাবে। তিনি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে তিনি। ৩টি রিসোর্টে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ইতোমধ্যে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

তবে আশার কথা হচ্ছে এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে কোনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রামু ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা করে আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এদিকে জেলার আশেপাশের উপজেলার মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠান। এমনকি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ও পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য আগাম চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বৈঠকও হয়েছে।

ওডি/জেএস