চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় ইতালিফেরত এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. এ এস এম মারুফ হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সিভিল সার্জনের নিজ কক্ষে এক জরুরি বিফ্রিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি জানান, ৩০ বছর বয়স্ক ওই যুবককে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের একটি কক্ষে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বাবাকেও রাখা হয়েছে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১২ মার্চ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ইতালি থেকে দেশে ফেরে ওই যুবক। বিমানবন্দরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়। ঢাকাতে দুই দিন অবস্থানের পর ১৪ মার্চ নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে ফেরেন ইতালিফেরত ওই যুবক। এর এক দিন পর থেকেই ঠান্ডা, কাশি ও গলা ব্যথাসহ জ্বরে আক্রান্ত হয় সে। খবর পেয়ে গত ১৬ মার্চ তাকে ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন আরও জানান, ভর্তির পর ঢাকা আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় এসে ওই যুবকের শরীরের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর তার শরীরের রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় আইইডিসিআরে। বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আইইডিসিআর ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, জেলার চারটি উপজেলাতে মোট ৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুইজন, জীবননগরে ৩৩ জন, দামুড়হুদায় ১৩ জন ও আলমডাঙ্গায় ৩৫ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে রেখে তাদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব মতে হোম কোয়ারেন্টানে ৮৩ জনের কথা বলা হলেও জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টানে আছেন ১০৫ জন। এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরও দেন সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান। তিনি দাবি করেন, জেলার চারটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা তালিকা প্রণয়ন করছি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যেহেতু করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে, সেহেতু বিনা কারণে হাসপাতালে জনসাধারণকে না আসার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন : প্রতারক ডিসি অফিসের কেরানি এখন কোটিপতি
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, জেলাতে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশফেরত ১০৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪২ জন, জীবননগরে ৩৩, আলমডাঙ্গায় ১৫ ও দামুড়হুদায় ১৬ জন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড