মাদারীপুর প্রতিনিধি
করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে থাকা ইতালি প্রবাসীর সন্তানের সঙ্গে লেখাপড়া করা একই বিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীসহ মাদারীপুরে ১২৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
মাদারীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২৯ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে মোট আছে ২০৩ জন। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে রিলিজ হয়েছে ১৩৮ জন।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতালি প্রবাসীর সন্তানের সঙ্গে লেখাপড়া করা ১৯ শিক্ষার্থীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা আমাকে হাসপাতালে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক কুমার ঘোষ বলেন, আইইডিসিআর কর্মকর্তারা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে শিবচর পৌর এলাকার এক প্রবাসী দেশে আসে। দেশে আসার পর জ্বর-কাশি অনুভব করলে সে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকায় আইইডিসিআরে প্রেরণ করা হয় তাকে। আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে গত রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে শিবচরে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার (১৬ মার্চ) ওই প্রবাসীর শাশুড়িকেও ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে ওই ইতালি প্রবাসীর সন্তানের সহপাঠী একই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষার্থীকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ মীর রিয়াজ আহম্মদ বলেন, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলায় গত ২০ দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের করোনা সন্দেহে ৩৪১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত রিলিজ হয়েছে ১৩৮ জন। রিলিজ হওয়াদেরকে ২ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ সময় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রিলিজ হওয়াদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন তার সকলেই বিদেশ থেকে আসা। মাদারীপুরের স্থানীয় কোনো মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২৯ জনসহ মোট ২০৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে ১শ শয্যা আংশিক প্রস্তুতসহ সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দুটি কেবিনের চারটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুইটি করে বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : তাড়াশে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই গেট ধসের অভিযোগ
সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। কারও শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের সঙ্গে অথবা ঢাকায় সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। হাঁচি কাশির সময় নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগম না করার অনুরোধ করেন তিনি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড