• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নরসিংদীতে নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ

  মনিরুজ্জামান, নরসিংদী

১৬ মার্চ ২০২০, ১৬:৫২
আড়িয়াল খাঁ নদ
আড়িয়াল খাঁ নদ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নরসিংদীতে সীমানা নির্ধারণ না করে অবৈধভাবে মালিকানাধীন জমিতে আড়িয়াল খাঁ নদ খননের অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি জেলার মনোহরদী উপজেলার চরকৃষ্ণপুর গ্রামে এমন অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী।

অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চরকৃষ্ণপুর এলাকায় সরকারি নকশা অনুযায়ী নদ খনন না করে অজ্ঞাত কারণে রেকর্ডকৃত মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে খনন কাজ শুরু করে। এতে নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে চরকৃষ্ণপুর গ্রামটি নদের পানিতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এ দিকে, সীমানার জটিলতা নিরসন না করে অপরিকল্পিতভাবে নদ খনন করায় ফসলি জমি বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চরকৃষ্ণপুর এলাকার লোকজন। ইতঃপূর্বে দেড়শ একর জমি নদের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে এবং এ নিয়ে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী বলেন, তারা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেও বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসন এবং নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে কোনো প্রকার প্রতিকার পাননি।

সরেজমিনে দেখা যায়, আড়িয়াল খাঁ নদটি আদিকাল থেকেই চরকৃষ্ণপুর ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পূর্বচর পাড়াতলার আড়িয়াল খাঁ নদের সীমানায় পলি পড়ে নদটি ভরাট হয়ে যায়। এতে নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে চরকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষকদের জমির ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে প্রবাহিত হয়ে আসছে।

তবে বর্তমানে নদটির উত্তরের সীমানা কটিয়াদীর পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের দিক চর জেগে ওঠায় সেখানকার লোকজন চর দখল করে চাষাবাদ করে আসছে। অন্য দিকে নদ ভেঙে দক্ষিণ দিকে সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে নদটির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। বর্তমানে মনোহরদী উপজেলার চরকৃষ্ণপুর মৌজার ওপর দিয়ে নদটি প্রবাহিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া পুনরায় যদি নদের বহমান অংশে নদটি খনন করা হয় তাহলে পুরো গ্রামটিই হুমকির মুখে পতিত হবে।

এ ব্যাপারে বড়চাপা ইউপি চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ এম সুলতান উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তারা জানান, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে যে অংশ দিয়েই পানি প্রবাহিত হয় সে অংশই সরকারের অধীনে চলে যায়। তখন তাকে আর ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পদ বলা যায় না। তাই নদীর প্রবাহিত অংশ দিয়েই নদী খনন চলবে।

মনোহরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে আমরা শেষ সীমানা স্থাপন করে নদের মূল অংশে খননের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা নদী খনন প্রকল্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নদীর চরের অংশ না কেটে বর্তমান প্রবাহমান অংশ দিয়েই তাদের খনন কাজ চলবে বলে জানান। তবে এলাকাবাসীর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নদটির পূর্ব গতিপথে খননের জন্য আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

আরও পড়ুন : শেবাচিম পরিচালককে হঠাৎ বদলি, এলাকায় গুঞ্জন

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান বলেন, নদী খননে সরকারিভাবে আমাদের যে ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা অনুসরণ করেই আমরা নদটি খনন করছি।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড