৩ পর্যটককে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব ছিনতাই

কক্সবাজার শহরের শৈবাল পয়েন্টে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন পর্যটক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টের ঝাউবিথীতে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত পর্যটকরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈম শেখ (২৫), ঢাকার মিরপুরের পল্লবী এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন রাজ্জাক (৩১) ও মোশাররফ হোসেন জনি (৩২)। তাদের মধ্যে নাঈম শেখের অবস্থা গুরুতর।

আহত সালাউদ্দিন রাজ্জাক বলেন, রাতে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার খেয়ে আমরা তিনজন সমুদ্র উপভোগের জন্য বের হয়ে ঝাউবিথীতে হাঁটতে শুরু করে। হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল এসে তাদের ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে ছুরি দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর ধস্তাধস্তি ও চিৎকার শুরু করলে ছিনতাইকারীর দল ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে আমি এবং বিচ কর্মী খোরশেদ আলম এগিয়ে যাই। দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজন পর্যটক পড়ে আছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দেই।

ঘটনার পরপর সদর হাসপাতালে আসেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার মাসুম খান। এ সময় তিনি জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এর আগে শুক্রবার (১৩ মার্চ) সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ফিশ-ফ্রাই খেয়ে ফেরদৌস আলম খান সৌরভ নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। পরের দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মেরিন ও মায়ের দোয়া নামের দুটি দোকান সিলগালা করা হয়। এ সময় ৬টি দোকানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ পচা মাছ, মাংস ও মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ক্যামেরাম্যান কয়েকজন পর্যটককে মেরে রক্তাক্ত করে।

আরও পড়ুন : শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এমনিতে ভরা মৌসুমে পর্যটকের খরা কক্সবাজারে। তার ওপর পর্যটকের মৃত্যু, ছিনতাই এবং হামলা পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

ওডি/জেএস