নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন (৫৬) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার পর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জয়নাল আবেদীন রায়পুরা উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের মৃত শামসু মিয়ার ছেলে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিসৎক ডা. শওকত হাসান শাকিল জানান, রাত আড়াইটায় জেলা কারাগারের লোকজন জয়নাল আবেদীন নামে এক কয়েদিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসা চলাকালীন তিনি মারা যান।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মিজানুর রহমান জানান, নিহত জয়নাল আবেদীন পূর্ব থেকেই হার্টের রোগসহ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। আমি নিজেও তাকে চিকিৎসা দিয়েছিলাম। তবে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্ত শেষে বলা যাবে।
এ দিকে নিহত জয়নাল আবেদীনের মেয়ের জামাই মামুন জানান, ‘আমার শ্বশুর নির্দোষ ছিলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। অবশেষে তাকে কারাগারে থেকেই মরতে হলো।’
জানা যায়, ২০১৮ সালের এক হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে এ মামলায় আরেক আসামি নাসিরের (২২) জবানবন্দি অনুযায়ী নিহত মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল মাস্টার শিশু মামুন (৭) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নরসিংদী জেলা কারাগারে ২১ মাস ধরে কারাবাস করে আসছেন।
এ বিষয়ে তৎকালীন নরসিংদী পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালে বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে, একই বছর ২০ জুন রায়পুরা উপজেলার হাসিমপুর এলাকার প্রবাসফেরত সুজন মিয়ার ৭ বছর বয়সী ছেলে মামুন খেলতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। তিনদিন পর (২৩ জুন, ২০১৮) দুপুরে প্রতিবেশী জয়নাল মাস্টারের তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে শিশু মামুনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হলে নিহতের বাবা সুজন মিয়া বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় প্রথমে হত্যায় জড়িত সন্দেহে জয়নাল মাস্টারকে আটক করা হয়।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত মূল আসামি নাসিরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রতিবেশী জয়নাল মাস্টারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই শিশু মামুনকে অপহরণ করে অন্যত্র রেখে দুইদিন অভুক্ত রাখার পর হত্যা করা হয়। পরে সন্দেহ থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী জয়নাল মাস্টারের বাড়ির ছাদে লাশ রেখে দেওয়া হয়।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড