বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হলো।

এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই একজন শিশু, ২ জন নারী ও ২ জন পুরুষসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন নারীসহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে আরও দুইজন পুরুষের মৃত্যু হয়।

নিহতদের মরদেহ ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কাটাখালি হাইওয়ে থানায় রাখা রয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ দিকে, নিহত ৮ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মাদারীপুর জেলার শানের বাজার গ্রামের লিয়াকত শেখের মেয়ে রাফিজা আক্তার (৪) ও ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা শাখার ইঞ্জিনিয়ার আব্বাস উদ্দিন (৪৫)।

দুর্ঘটনার পর আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় ফকিরহাট উপজেলাধীন খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফলতিতা কাকডাঙ্গা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওই সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ‘রাজিব পরিবহনের’ একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুভর্তি একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রাজিব পরিবহনের গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে সড়কে উল্টে যায় এবং ট্রাকটির তেলের ট্যাংক ও চাকা ফেটে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে শিশুসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ খায়রুল আনাম জানান, ‘আমরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছি। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন : বাগেরহাটে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫

তবে এখন পর্যন্ত নিহত অপর ছয়জনের পরিচয়ের সন্ধান চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ওডি/আইএইচএন