• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্যামরি ডাইং গোডাউনটি উপযুক্ত স্থানে করা হয়নি : ফায়ার সার্ভিস 

  নরসিংদী প্রতিনিধি

১৪ মার্চ ২০২০, ০৯:৫৯
নরসিংদী
ডাইং কারখানা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার ভূঁইয়ার ঘাট এলাকায় প্রতিষ্ঠিত স্যামরি ডাইংয়ের গোডাউনটি উপযুক্ত স্থানে করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নরসিংদীর উপসহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘোড়াশালের স্যামরি ডাইংয়ের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে শুক্রবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে কথা হয় ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তার সঙ্গে।

এ সময় তিনি জানান, যেখানে কারখানার গোডাউনটি করা হয়েছে সেখানে সেটি কোনো মতেই নিরাপদ নয়। কেন না এর একপাশে স্যামরি ডাইং এর নিজস্ব কারাখানা অপর পাশে প্রাণ আরএফএল কোম্পানির বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কারখানার কোনো গোডাউন করতে গেলে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ও নিরাপত্তামূলক সনদপত্র নিতে হয় যা, এই কারখানা কর্তৃপক্ষ করেনি। এছাড়া অগ্নিনির্বাপণের জন্য অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক হলেও এই গোডাউনে কোনো যন্ত্র রাখা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী গোডাউন করতে গেলে আশপাশে পানির ব্যবস্থা রাখার নিয়ম থাকলেও তারা সেটি রাখেনি। যার ফলে আগুন লাগায় ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব পানি শেষ হয়ে গেলে শীতলক্ষ্যা নদীতে মেশিন বসিয়ে পানি আনতে হয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এই গোডাউনে বিভিন্ন কারখানার কাপড় রংকরণের জন্য কেমিক্যাল, সুতা, অ্যাসিড, লবণ, কিছু কাঠ ও প্লাস্টিক জাতীয় বস্তু ছিল। এখানে কোনো প্রকার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।

আগুন লাগার বিষয়ে তিনি জানান, কারখানার মালিক পক্ষ দাবি করছেন কেউ শত্রুতাবশত আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে যেহেতু গোডাউনে কেমিক্যাল, অ্যাসিড ও দাহ্য পদার্থ ছিল তা থেকেও আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি ফায়ার সার্ভিসের।

আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু মালিক পক্ষ দাবি করছেন ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই তারা এ বিষয়ে নির্ধারিত ফি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছে একটি আবেদন করবেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয় ৩ বা ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন। এই কমিটি গোডাউনের বিভিন্ন খাতাপত্র, স্টক রেজিস্ট্রার যাচাই বাছাই করে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করবেন। আর এ সপ্তাহেই তদন্ত কমিটি গঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসকে জানায়, কিছুদিন হলো গোডাউন তৈরি করেছে, আর আগামী কিছুদিনের মধ্যে হয় তো কাগজপত্র করত।

কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানে এই কারখানা প্রায় ১০ বছর যাবত পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া এই গোডাউনের বিষয়ে ইনস্যুরেন্স করা হয়েছে বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।

আরও পড়ুন : পলাশে ডাইং গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক স ম মোজাম্মেল হকের মোবাইলে একাধিকার কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওডি/জেএস

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড