রূপসায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

খুলনা রূপসায় বিয়ের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে প্রেমিকা অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকের বাড়িতে। শুক্রবার (৬ মার্চ) গভীর রাত থেকে ওই বাড়িতেই অবস্থান করছে প্রেমিকা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের শওকত আলী মীরের ছেলে মো. নাসিম মীরের (২৫) সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একই গ্রামের মৃত মোস্তফা মুন্সির মেয়ে মমতা আক্তার নীলা (১৮) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতোই বিভিন্ন স্থানে যাওয়া আসা করে। যা উভয়ের পরিবার অবগত রয়েছে।

জানা যায়, এক সময় অসুস্থ হয়ে নাসিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার পরিবার নীলাকে নাসিমের কাছে নিয়ে যায় সেবা করার জন্য। নাসিম সুস্থ হয়ে এসে এলাকায় প্রচার করে আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। বিষয়টি এলাকায় প্রচার হলে নীলা বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমিক নাসিমকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

এ দিকে নাসিম বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নীলা নাসিমকে ফোন করলে তার সঙ্গে কিছু সময় কথা হয়। ওইদিন রাত ২টার দিকে নাসিম মীরের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয় নীলা। কিন্তু নাসিম টের পেয়ে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। প্রেমিক নাসিম মীরের পরিবারের লোকজন নীলাকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে নীলা বলেন আমাকে নাসিমের সঙ্গে বিয়ে না দিলে আমি আত্মহত্যা করব।

পরে নাসিমের বাবা-মা, বোন ও সমাজসেবক আবু আহাদ হাফিজ বাবু, রুবেল মীরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নাসিমের সঙ্গে নীলার দুই দিনের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা পিতৃহারা নীলাকে জানালে সে শান্ত হয়ে নাসিমের বাড়িতে অবস্থান করে। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময় অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সমাধান না হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে নীলা।

আরও পড়ুন : বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, সেই বাস চালক গ্রেপ্তার

এ ব্যাপারে রূপসা থানার এসআই ইন্দ্রজীত মল্লিক বলেন, ‘মেয়েটি বর্তমানে নাসিমদের বাড়িতে আছে। সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নাসিমের বাড়িতে বৈঠক করেন। বৈঠকে নাসিমের সঙ্গে ওই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা-মাকে বলা হয়। ছেলের বাবা-মা যদি বৈঠকের সিদ্ধান্ত পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওডি/এএসএল