নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে এক ভিক্ষুকের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বর্তমানে ওই পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ভুক্তভোগী পরিবার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ধামইরহাট থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত রুপনারায়ণপুর (শল্পী) গ্রামের ভিক্ষুক লখাই মন্ডল গত রবিবার (৮ মার্চ) রাতে প্রতিদিনের মতো খাওয়া শেষে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ওইদিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে কোকিল গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মামুনুর রশীদ পবন ওই জমি নিজের দাবি করে তার নেতৃত্বে প্রায় ২৫-৩০ জন মুখোশধারী বাড়িতে আক্রমণ চালায়। এতে মুখোশধারীরা মাটির ঘর ও প্রাচীর ভেঙে দেয়। এছাড়া ঘরে রক্ষিত চালের ড্রাম, থালা-বাসন, কাপড়, ঘরের ঢেউটিন, টিউবওয়েল এবং নগদ প্রায় ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে লখাই মন্ডলের ছেলে গোলাপজল হোসেন বলেন, রুপনারায়নপুর মৌজার ৮৭ শতাংশ জমি আমার নানির কাছ থেকে আমার মা পেয়েছে। সেই জমিতে আমরা বসতবাড়ি তৈরি করে প্রায় ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। হঠাৎ করেই জিল্লুর রহমানের ছেলে এবং ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ পবন ওই জমি নিজের দাবি করে হামলা চালায়।
প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম ও মোশারফ হোসেন বলেন, লখাই মন্ডল সারাদিন ভিক্ষা করে সংসার চালায়। অনেক কষ্ট করে মাটির দুটি ঘর নির্মাণ করেছিল। বর্তমানে ওই পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
ভিক্ষুক লখাই মন্ডলের বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে মামুনুর রশীদ পবন বলেন, ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর শল্পী বাজারের জগদীশ রবিদাসের কাছ থেকে ১ একর ৭৪ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেন। ধামইরহাট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধন হয়। যার দলিল নিবন্ধন নম্বর- ৫২৬৪। বর্তমানে লখাই মন্ডল ৫-৬ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। বাকি অংশটুকু আমার ভোগ দখলে রয়েছে। তবে তিনিও বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চান। মামুনুর রশীদ পবন স্থানীয় জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.শামীম হাসান সরদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে লখাই মন্ডলের ছেলে গোলাপজল হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড