নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমিকের নাম আল-কাইয়ুম নিপুণ (৩৩)।
সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের মোকারমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে প্রেমিক আল-কাইয়ুম নিপুণের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কাইয়ুম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা বিদেশ থাকায় সে পরিবার নিয়ে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত কাইয়ুমের সঙ্গে ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার সুমির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পরকীয়ার জেরে সুমির পরিবারের লোকজন কাইয়ুমকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।
নিহতের ভাই জানান, কাইয়ুম গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৪ মার্চ নরসিংদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ও ইতালি ফেরত ৩ বাংলাদেশি বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। কল লিস্টে মোকারমের স্ত্রী সুমীর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল কথোপকথনের যোগসূত্র পাওয়া যায়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমীকে আটক করা হলে তার দেওয়া তথ্য মতে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে কাইয়ুমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমীসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড