কামরুজ্জামান সেলিম, চুয়াডাঙ্গা
দুস্থ, অসহায়, হতদরিদ্র নারী ও পথ শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে নিজ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার স্বেচ্ছাসেবী নারী জাহানারা। গড়ে তুলেছেন পথশিশু ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন পথশিশু ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে।
গল্পের শুরুটা ২০০৭ সালে। নিজের শিক্ষার পাশাপাশি সমাজের হতদরিদ্র পথ শিশুদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেন চুয়াডাঙ্গার পলাশ পাড়ার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে জাহানারা খাতুন। তার অদম্য প্রচেষ্টায় একসময় যে শিশুরা এক মুঠো ভাতের জন্য পথে পথে ও স্টেশনে স্টেশনে কাগজ ও প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে ঘরে ফিরত এখন সেই শিশুরা শিক্ষার আলোই আলোকিত হচ্ছে। আর এই সব পিছিয়ে পড়া শিশুরা জাহানারা খাতুনের আদর স্নেহের পরশে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার স্বপ্ন দেখছে।
সেই সঙ্গে ২০০৮ সালে মৃত জামেলা খাতুন নামের এক দুস্থ নারীকে নিয়ে শুরু করেন হাতের কাজ শেখানের কাজ। এখন প্রায় ২ শতাধিক নারীদের শেখাচ্ছেন ব্লক বাটিক, দর্জি বিজ্ঞান, বিউটিফিকেশন; মিষ্টির ঠোঙা, জুতার ব্যাগ, শপিং ব্যাগ তৈরিসহ বিভিন্ন কাজ। এ কাজগুলো জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তিনি শিখিয়ে থাকেন।
জেলা শহরের পলাশ পাড়ায় নিজ বাড়িতে প্রায় ১০০ জন, জেলার সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহে ২৫ জন হিজরা, শহরের পৌর এলাকার নূরনগর কলোনি পাড়ায় ১০০ জন, মুসলিমপাড়ায় ৩০ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুর কুল্লায় ১০ জন অসহায় নারীকে বিভিন্ন প্রকারের হাতের কাজ শেখাচ্ছেন বিনা পারিশ্রমিকে।
পৌর এলাকার কলোনি পাড়ার গৃহবধূ সুমিতা বলেন, জাহানারা এলাকায় প্রবেশ করলে পথ শিশুরা মণি মা বলে জড়িয়ে ধরে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াহ্ ইয়া খাঁন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনও জাহানারার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তার কার্যক্রম এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন : মুন্সিগঞ্জে ৩ একর জমিতে পপি চাষ ইউপি সদস্যদের
জাহানারা এসব অবদানের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড