শিহাবুদ্দীন সেলিম, চাঁদপুর
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যে কজন নারীর নাম জুড়ে আছে তাদের মধ্যে অন্যতম চাঁদপুরের ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী।
মেডিকেলের ছাত্রী হওয়ার সুবাদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তি সংগ্রামে অংশ নেন। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিনি অংশ নিতেন বিভিন্ন অভিযানে। বিশেষ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলাই ছিল তার অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনাদের দ্বারা নির্যাতিত নারীদের রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
এই নারী মুক্তিযোদ্ধা ১৯৫০ সালে কিশোরগঞ্জের অষ্টাগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি চাঁদপুরস্থ হাজীগঞ্জের মরহুম অ্যাডভোকেট তাফাজ্জল হোসেন নসু চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পেশাগত জীবনে তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমও হিসেবে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেলেও এমও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন এবং ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত চাঁদপুরের সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ আলোকিত করে অবসরে যান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধা পদক, আন্তর্তাজিক নারী দিবসের সম্মাননা পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পদক লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন : নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসার এখন স্মৃতি
বিশ্ব নারী দিবসে দৈনিক অধিকারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম রোল মডেল। তাই নারী উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়নে তার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এই লক্ষে নারী দিবসে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীদের আরও বেশি সচেতন হওয়া আহ্বান জানান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই নারী মুক্তিযোদ্ধা।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড