রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা
গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তার পাশে ত্রিপল দিয়ে উঠানো একটি চায়ের দোকান। এই চায়ের দোকান চালান মমেনা বেগম (৫০) নামে এক সংগ্রামী নারী। মাত্র দুই শতাংশ জমির ওপর একখানা ঘর। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। নিজের আয়ের উৎস বলতে শুধু চায়ের দোকান। এই দোকানের আয়ে চলছে মমেনার সংসারের সব খরচ।
বিয়ের দুই বছর পর মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হন স্বামী মধু মিয়া। নেমে আসে সংসারের করুন দশা। সংসার চালাতে মমেনা কখনো অন্যের বাড়িতে কাজ করেন, আবার রাস্তায় মাটি কাটেন। ছুটে চলার শেষ নেই।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গোপালপুর (দিঘির পাড়া) গ্রামের মধু মিয়ার স্ত্রী মমেনা বেগম। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে কাজ করছে তিনি। মাত্র ৪শ টাকা দিয়ে চায়ের দোকানের ব্যবসা শুরু করে আজও পরিবর্তন হয়নি মমেনার ভাগ্য, হয়নি কোনো উন্নতি।
নারী হিসেবে প্রতিকূলতার অভাব ছিল না। তাকেই সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়।
মমেনা বলেন, ঘরে অসুস্থ স্বামী, রেখে কোথাও কাজ করতে যাই না। আগে বিভিন্ন রাস্তার রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতাম। এখন আর রাস্তার কাজ পারি না। প্রতিদিন গড়ে ২শ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করে থাকি। চায়ের দোকান থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়।
আরও পড়ুন : রেলওয়ের গেটকিপার সংগ্রামী ফাতেমার গল্প
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বারকে অনেক বলেছি। কোনো সহযোগিতা করেনি। সহায়তা পেলে চায়ের দোকানের পাশাপাশি অন্য ব্যবসা করার কথা জানান মমেনা বেগম।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড